• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন

×

চিংড়ি রপ্তানি খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
  • ১০৩ পড়েছেন

ঘূর্ণিঝড় রেমালে সুন্দরবন উপকূলীয় তিন জেলায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসার আভাস

কাজী অনিরুদ্ধঃ
ঘূর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ৩২ হাজার ৯৫৯ হেক্টর জমির ঘেরগুলোতে চাষকৃত ৭ হাজার ৬৩০ মেট্রিকটন চিংড়ি, ১ হাজার ১৭১ লাখ চিংড়ি পোনা, ১৫ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন সাদা মাছ ও ১৭২ মেট্রিক টন কুঁচে ভেসে গেছে। সব মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে চলতি বছর চিংড়িসহ সাদা মাছের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে

আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে চিংড়ি রপ্তানি খাতে।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ৪০ হাজার ৫১৫টি মৎস্য ঘের এবং ৮ হাজার ১০০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে খুলনা জেলায় ৯ হাজার মৎস্য ঘের, বাগেরহাট জেলায় ২ হাজার ৭০০ মৎস্য ঘের ও সাতক্ষীরা জেলার ৩ হাজার ৯০০ মৎস্য ঘের লবণপানিতে একবারেই তলিয়ে গেছে। এছাড়া উক্ত তিন জেলায় ৮ হাজার ১০০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাদা মাছের পাশাপাশি বহু চিংড়ি নদীতে ভেসে গেছে। এতে শুধু চিংড়িখাতে প্রাথমিকভাবে ক্ষতি হয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা। পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের মৎস্য চাষিরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিপুল পরিমাণ সাদা মাছ ও চিংড়ি নদীতে ভেসে গেছে। এতে চাষিদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফএ) পরিচালক এম এ হাসান পান্না বলেন, এমনিতেই এখনো চিংড়ির উৎপাদন কম। এ কারণে প্রতি বছর আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে সাদা মাছের সঙ্গে বহু চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। এতে হাজার কোটি টাকার ওপর ক্ষতি হয়েছে। খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব কুমার পাল বলেন, চাষিদের ফের ঘুরে দাঁড়াতে হলে ঘের থেকে জলোচ্ছাসের পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘের প্রস্তুত করে ভর্তুকি মূল্যে পোনা সরবরাহ করতে হবে। কারণ যে সব চাষি ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের টাকা-পয়সা তো সব ঘেরে শেষ হয়ে গেছে। তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য প্রয়োজন।উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিকটন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছিল। যেখান থেকে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করে ২ হাজান ৪১২ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA